
সম্প্রতি ডিভোর্স ডটকম প্রকাশিত ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট পেশায় বিবাহ বিচ্ছেদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা গেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সেই পেশাগুলো কী এবং কেন এই পেশাগুলোর ব্যক্তিরা দাম্পত্য জীবনে স্থায়িত্ব ধরে রাখতে ব্যর্থ হন।
১. বারটেন্ডার
তালিকার শীর্ষে রয়েছেন বারটেন্ডাররা। পানীয় প্রস্তুত ও পরিবেশন করাই তাঁদের কাজ, তবে রাতজাগা জীবনধারা, মদ্যপান এবং কর্মক্ষেত্রের সামাজিক পরিবেশের কারণে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা দেখা দেয়।
২. এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স আর্টিস্ট
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স শিল্পীরা। এই পেশায় কাজ করার কারণে মানসিক চাপ, ঈর্ষা, নিরাপত্তাহীনতা ও প্রতারণার ঝুঁকি বেশি থাকে, যা দাম্পত্য সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়।
৩. উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা
সামরিক কর্মকর্তাদের কাজ অত্যন্ত চাপযুক্ত ও অনিশ্চয়তায় ভরা। কর্মস্থলের কারণে পরিবার থেকে দীর্ঘ সময় দূরে থাকতে হয়, ফলে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয় এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়।
৪. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী
রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যস্ত সময়সূচী থাকে। এতে তাঁদের জীবনসঙ্গী প্রায়ই অবহেলিত বোধ করেন, যার ফলে দাম্পত্য সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা যায়।
৫. গেমিং সার্ভিসেস ওয়ার্কার
ক্যাসিনো ও জুয়া সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা অনিশ্চিত জীবনযাপন করেন। অর্থ ও মানসিক চাপের প্রভাব তাঁদের দাম্পত্য জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৬. ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট
গ্ল্যামারাস হলেও এই পেশায় দীর্ঘ সময় ভ্রমণের কারণে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। দূরত্ব ও শারীরিক ক্লান্তি সম্পর্ককে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
৭. কাস্টমার কেয়ার, টেলিমার্কেটার ও সুইচবোর্ড অপারেটর
চাপযুক্ত কর্মপরিবেশ, অতিরিক্ত ফোন সংযোগ, মানসিক ক্লান্তি এবং দুর্ব্যবহার সহ্য করার ফলে এই পেশাজীবীরা ব্যক্তিগত জীবনে মানসিক শান্তি খুঁজে পান না, যা সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে।
৮. ডান্সার ও কোরিওগ্রাফার
নিয়মিত অনুশীলন, শারীরিক পরিশ্রম, এবং মানসিক চাপের কারণে এই পেশার ব্যক্তিরা সম্পর্ক বজায় রাখতে ব্যর্থ হন।
৯. ম্যাসাজ থেরাপিস্ট
অনেকে তাঁদের পেশাকে ভুল ব্যাখ্যা করেন, যার ফলে জীবনসঙ্গীদের মধ্যে সন্দেহ ও মানসিক চাপ তৈরি হয়।
১০. টেক্সটাইল নিটিং ও ওয়েভিং মেশিন অপারেটর
শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের কারণে এই পেশার ব্যক্তিরা ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন, যা সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উপসংহার
পেশাগত চ্যালেঞ্জ ও দাম্পত্য জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হতে পারে। তবে সচেতনতা, যোগাযোগ ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ দাম্পত্য জীবন টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
সূত্র: ডিভোর্স ডটকম