
ব্রণ থেকে রেহাই পেতে এড়িয়ে চলতে হবে যেসব খাবার
দুধ বা দুধের তৈরি খাবার
অনেকেই প্রতিদিন দুধ পান করেন। আবার দুধের তৈরি খাবার, যেমন—মিষ্টি, দই, পায়েস, ছানাজাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে জেনে নিন, দুধে থাকা হরমোনের প্রভাবে ত্বকে ব্রণের পরিমাণ বাড়তে পারে। আপনার ত্বকের ব্রণের প্রবণতা থাকলে এড়িয়ে চলতে হবে দুধ বা দুধের তৈরি খাবার।
আয়োডিনযুক্ত খাবার
আপনার ব্রণের সমস্যা তীব্র হলে আয়োডিনযুক্ত লবণ বা আয়োডিন আছে এমন খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। সামুদ্রিক উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। অনেকের খুব পছন্দের খাবার সুশি। জেনে নিন, সুশিতে থাকা অতিরিক্ত আয়োডিন ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তবে, ব্রণ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আয়োডিন পুরোপুরি বাদ দেওয়া যাবে না। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী আয়োডিন গ্রহণ করতে হবে।
উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার
চিনি, ছাঁটা চাল ও সাদা আটার মতো ছাঁটা বা খোসা ছাড়ানো শস্য, সোডা, সস ও প্রক্রিয়াজাত মাংসে অতিমাত্রায় শর্করা থাকে। এসব খাবার রক্তে শর্করা ও হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়। ব্রণের প্রবণতা কমাতে এসব খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে।
ব্রণ থেকে রেহাই দেবে যেসব খাবার
অ্যালোভেরা
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার বহু পুরোনো। এই ভেষজ উদ্ভিদ শরীরের বাহির ও ভেতর—দুই পাশেই ব্যবহার করা যায়। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণের প্রবণতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জুস পান করলে শরীরের অভ্যন্তরে এর প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল ও ব্রণমুক্ত থাকে।
ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার
ওমেগা-৩ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার সামুদ্রিক মাছ, চিয়া সিড ও ফ্ল্যাক্স সিড খেতে পারেন। এসব খাবারে থাকা ওমেগা-৩ ত্বককে পুষ্টি জোগাবে।
জিংক সমৃদ্ধ খাবার খান
ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে জিংক। ব্রণ থেকে রেহাই পেতে কুমড়ার বীজ, কিডনি বিনস ও শামুকের মতো জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এসব খাবার খাওয়ার রুচিও বাড়াবে, পাশাপাশি ত্বকের যত্নও নেবে।
সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য খাবার বাছাই করুন সচেতনভাবে। একটু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলেই ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব!