
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট কৃষ্ণানন্দ বকশী সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশি কৃষকদের মারধরের ঘটনায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দুঃখ প্রকাশ করেছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বারোমাসি নদীর তীরে গোরকমণ্ডল সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ্ মো. শাকিল আলম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানান। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল অমিত শাহ। বৈঠকে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঘটনার পটভূমি
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট সীমান্তের ৯৩০ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের কাছে কয়েকজন বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২০০-৩০০ গজ প্রবেশ করে। তারা কৃষিকাজে নিয়োজিত সামছুল হক (৬০) নামের এক বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং পরে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে, এতে তার ডান হাত ফেটে যায়।
এ ঘটনায় উত্তেজিত স্থানীয়রা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএসএফ সদস্যদের ধাওয়া করলে তারা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে এবং আরও কয়েকজন বাংলাদেশিকে মারধর করে। এতে সামছুল হক ছাড়াও জাবেদ আলী (৫৫), তাজুল ইসলাম (৪০) ও কাসেম আলী (৫০) আহত হন।
বিজিবির পদক্ষেপ ও পরিস্থিতি
ঘটনার পরপরই ফুলবাড়ী উপজেলার গোরকমণ্ডল বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য বিএসএফের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ্ মো. শাকিল আলম বলেন, “বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কৃষকদের মারধর করেছে। আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি, এবং তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর আশ্বাস দিয়েছে।”
বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।