
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি বৃহৎ কোম্পানি, আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ এবং মাসদার, বাংলাদেশের বন্দর উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও লজিস্টিকস এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের (এডিপিজি) সিইও আহমাদ ইব্রাহিম আল মুতাওয়া এবং মাসদারের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের হেড অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফাতিমা আলমাধলুম আলসুআইদি এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের বিনিয়োগ পরিকল্পনা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড, ডেনমার্কের এপি মোলার মার্স্ক এবং সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের পর চতুর্থ বৃহৎ পোর্ট হ্যান্ডলার হিসেবে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এই গ্রুপ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কন্টেইনার ও মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে তিনটি বে টার্মিনালের মধ্যে একটি নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
গ্রুপের সিইও আল মুতাওয়া বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিনিয়োগ-বান্ধব মনোভাবের প্রশংসা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই বিনিয়োগ বাংলাদেশের বন্দরে জাহাজ চলাচল ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মাসদারের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ
নবায়নযোগ্য এনার্জি সংস্থা মাসদার ২৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য উপকূলে পুনরুদ্ধারকৃত জমিতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
মাসদারের বিনিয়োগ বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান ফাতিমা আলমাধলুম আলসুওয়াইদি বলেন, ‘বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নতুন আয়ডিয়া প্রদানে আমরা অত্যন্ত সহায়ক হতে চাই।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া
বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা লোকবল নিয়ে আসুন এবং যত খুশি প্রকল্প স্থাপন করুন।’
বিশ্ব সরকার সম্মেলনে আমন্ত্রণ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামিদ, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।
রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আলহুদি ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগদানের জন্য দুবাই সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।