
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ যত দিন না ক্ষমা চাইছে, যত দিন না তাদের নেতৃত্বকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে এবং জবাবদিহির মুখোমুখি করা হচ্ছে, তত দিন তাদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি (প্রোটেস্ট) করতে দেওয়া হবে না।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এর আগে সকালে নিজের ফেসবুক পেজেও তিনি একই বিষয়ে পোস্ট করেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগ গতকাল মঙ্গলবার তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে যে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী?
জবাবে শফিকুল আলম বলেন, সরকারের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বসহ অনেকেই পুরো জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। গতকাল হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যেখানে চোখের সামনে শিশু-কিশোরদের হত্যা করা হয়েছে। শত শত তরুণ-তরুণী চিরতরে অন্ধ হয়ে গেছে, অনেকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা মিথ্যা প্রচার করছে যে তিন হাজার পুলিশ মারা গেছে। এটি কত বড় মিথ্যাচার!
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যত দিন না আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইছে, যত দিন না তাদের নেতৃত্বকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে এবং জবাবদিহির মুখোমুখি করা হচ্ছে, তত দিন তাদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না। তাদের আগে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। এখানে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট।
শফিকুল আলমের এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানকেই প্রতিফলিত করে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের অনুমোদন না দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।